ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ফলের দামে আগুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ফলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে তেলের দাম না বাড়লেও ফলের দাম বাড়ছে হু হু করে। একদিকে রমজান মাসের রোজা অন্যদিকে বৈশাখ, কিন্তু ফল কিনতে বাজারে এসে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

মালদা বাজারেও ক্রেতাদের এই মৌসুমে ফল কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির ফলে এবার রোজার বাজারে তেমন ফলের চাহিদা নেই বলে জানিয়েছেন ফল বিক্রেতারা।

সোমবার সকালে চিত্তরঞ্জন মার্কেট, রথবাড়ি ফল বাজারে তেমন কেনাকাটার ভিড় দেখা গেল না। ফল বিক্রেতা দেবব্রত সাহা জানান, করোনার সময়কালেও রোজার সময় আমরা ফল ভালো ভাবে বিক্রি করেছি। কিন্তু এবার রোজায় বাজার নেই তেমন।

ফলের পাশাপাশি খেজুরের দামও আকাশছোঁয়া। বাজারে আসা ক্রেতা আব্দুল আলীম জানান, এবারের রোজা আমরা কিভাবে করছি সেটা আমরাই জানি। ফলের দাম আকাশছোঁয়া। রোজায় খাব কি সেটাও বুঝতে পারছিনা।

মধ্যবিত্ত মানুষদের বাঁচার উপায় নেই। প্রতিনিয়ত জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে সেভাবে মানুষের রোজগার বাড়ছে না। বাজারে এসে ফল কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

অন্যদিকে ফলের বাজারে আগুন থাকায় অল্প ফলেই বৈশাখের পূজা করতে হচ্ছে ভক্তদের। বিশেষ করে রোজার মাসে খেজুরের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক।

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ফলের বাজার দর- খেজুর এক কিলোগ্রাম ৯০ থেকে ১৪০০ রুপি, কমলা এক কিলোগ্রাম ১২০ রুপি, আপেল এক কিলোগ্রাম ১৫০ রুপি, আঙ্গুর এক কিলোগ্রাম ১৫০ রুপি, পেয়ারা এক কিলোগ্রাম ১০০ রুপি, আম এক কিলোগ্রাম ১৫০ রুপি, কলা প্রতি পিস ৫ রুপি, সান্তরা এক কিলোগ্রাম ১৫০ রুপি, আনারস প্রতি পিস ৭০ রুপি।

সব ফলের দামই গত সপ্তাহে ২০ শতাংশ কম ছিল। রাজ্য সরকার বিভিন্ন বাজারে নজরদারি রাখলেও কেন হঠাৎ করে এভাবে দাম বাড়ছে সে বিষয়ে কেউই সদুত্তর দিতে পারছেন না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপোশাকশিল্প এলাকায় ২৯ ও ৩০ এপ্রিল ব্যাংক খোলা
পরবর্তী নিবন্ধশেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স