নিউজ ডেস্ক : আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের ৪৩তম শীর্ষ সম্মেলন এবং ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৮তম পূর্ব-এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন।
দুই দিনের সফরে ৫ সেপ্টেম্বর জাকার্তায় যাওয়ার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের। একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে এ সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে এটি হবে তার দ্বিতীয় বিদেশ সফর।
রাষ্ট্রপতির জাকার্তায় পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে কূটনৈতিক বিভিন্ন সূত্র।
ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র জানায়, এবার ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়া। বর্তমানে আসিয়ানের চেয়ারের দায়িত্ব পালন করছে দেশটি। জাকার্তায় অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
কিন্তু একই সময়ে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা থাকায় জাকার্তায় যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী। সেজন্য আসিয়ানের প্রতি ঢাকার সমর্থন ও সম্পর্ক বিবেচনায় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সূত্র জানায়, আসিয়ানের সঙ্গে বাংলাদেশের যে কমিটমেন্ট এবং সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা, তার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি যাচ্ছেন। আর জাকার্তা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, ওআইসির সদস্য দেশ।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর শীর্ষ সম্মেলনে আসিয়ানের বিশেষ অতিথি হিসেবে স্টেটমেন্ট দেবেন। সম্মেলনের ফাঁকে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ছাড়াও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এ নিয়ে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাকার্তার বাংলাদেশ মিশন। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, কূটনৈতিক সূত্রে আরও জানা যায়, জার্কাতায় পূর্ব এশিয়া সম্মেলনে রাষ্ট্রপতির সফর সঙ্গীদের তালিকায় থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সম্মেলনের ফাঁকে ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় দেশগুলোর সহযোগিতা সংস্থা ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওরা) ও আসিয়ানের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ আইওরার চেয়ার হওয়ায় ড. মোমেন আসিয়ানের সঙ্গে সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।
এদিকে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, পূর্ব এশিয়া সম্মেলনে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, যুক্তরাষ্ট্রেরে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছাড়াও বিশ্বনেতা ও বিভিন্ন সংস্থা প্রধানের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে প্রথম পূর্ব এশিয়া সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সময় ১৬টি দেশ ওই সম্মেলনে যোগ দেয়। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ পূর্ব এশিয়া সম্মেলনে প্রথমবার যোগদান করে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। গত বছর কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে অনুষ্ঠিত হয় ১৭তম পূর্ব এশিয়া সম্মেলন ।