ঈদের আগে ব্যাংকে উপচেপড়া ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক : দরজায় কড়া নাড়ছে আসন্ন ঈদুল ফিতর। ঈদকে ঘিরে সাধারণ মানুষের প্রস্তুতি এবার একটু বেশি। এরই মধ্যে মার্কেটগুলোতে জমে ওঠেছে কেনাকাটা। আর এ কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। রাজধানীর মতিঝিল ও দিলকুশা, দৈনিক বাংলা, পল্টন, শান্তিনগর, মালিবাগ, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকের শাখাগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

অন্যদিকে, প্রতিবছরই ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের চাহিদা বেড়ে যায়। এতে বাড়তি চাহিদার যোগান দিতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা ধার করে থাকে। তবে, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে লেনদেনের পরিমাণ বাড়লেও নগদ অর্থের টান পড়েনি। এছাড়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৩ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ২০ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৩২টি ব্যাংকের মাধ্যমে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে এসব এলাকায় ব্যাংকের শাখাগুলোতে টাকা জমা ও উত্তোলন কাউন্টারে লম্বা লাইন দেখা গেছে। সকাল থেকেই গ্রাহকের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গ্রাহককে টাকা জমার চেয়ে উত্তোলনই করতে বেশি দেখা গেছে। গ্রাহকের প্রয়োজনীয় লেনদেনের পাশাপাশি নতুন টাকার জন্যও ভিড় করছেন কাউন্টারগুলোতে। সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে নিজ নিজ লেনদেন শেষ করতে দেখা যায়।

মতিঝিলে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের গ্রাহক সাইফুল্লার সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের। তিনি বলেন, ঈদ কাছাকাছি চলে এসেছে। বাচ্চাদের পাশাপাশি গ্রামে থাকা বাবা-মার জন্য পোশাক কিনেত হবে। তাই টাকা তুলতে এসেছি। তবে, ব্যাংকে ভিড় (গ্রাহক উপস্থিতি বেশি) থাকলেও লেনদেনে কোনো হুড়োহুড়ি নেই, এটা ভালো দিক।

সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক আবেদিন বলেন, রোজার বেশি অর্ধেক শেষ হলো। আমার ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ১০-১২ জন কর্মরত আছেন। তাদের বেতন-বোনাস দিতে হবে। এজন্য টাকা তুলতে এসেছি। একটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে আজ অনেকেই এসেছেন এ জন্য।

সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল ব্রাঞ্চের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিবছরই দুই ঈদের আগে গ্রাহকের ভিড় থাকে ব্যাংকে। অনেকেই কেনাকাটা বা প্রতিষ্ঠানের বেতন-বোনাস দেওয়ার জন্য টাকা উত্তোলন করতে আসেন। এবারও গ্রাহকের উপস্থিতি বেড়েছে। আমাদের প্রতিটি ক্যাশ কাউন্টারেই গ্রাহকের ভিড় রয়েছে। অনেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফা তুলছেন কেউবা ডিপোজিট করছেন। আমরা গ্রাহককে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে গত সপ্তাহে ভিড় আরও বেশি ছিল, বিশেষ করে বৈশাখের আগ মুহূর্তে।

অন্যদিকে, বছরের সবসময়ই নতুন নোট ছাপানো হয়। তবে ঈদের আগে নতুন নোটের চাহিদা বেশি থাকায় ২৩ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে আসছে। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২০ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৩২টি ব্যাংকের মাধ্যমে নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডিবিএইচের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা ও নাম পরিবর্তন
পরবর্তী নিবন্ধপ্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে এনআরবিসি ব্যাংক-অক্সফাম চুক্তি