নববর্ষ নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার চালালে আইনি ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

নিউজ ডেস্ক : বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বাংলা নববর্ষ বরণের দিন সব অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে এবং অনুষ্ঠানে ফানুস বা আতশবাজি ফুটানো যাবে না ও ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ থাকবে।

বুধবার (২৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দেশব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানসমূহে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং, ডগস্কোয়াডসহ বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হবে। এসব অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে।

বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ফেসবুকে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। বাংলা একাডেমি ও বিসিক থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নববর্ষের মেলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ দেশে যে সব অনুষ্ঠান হবে তা সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেবে। নববর্ষে কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনার বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরের অনুষ্ঠানসমূহে ও সারা দেশে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস টিম থাকবে। মেডিকেল টিম থাকবে। বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, ছিনতাই/ পকেটমারসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

এছাড়া বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ থাকবে। নববর্ষে দেশের কারাগারগুলোতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হবে। কোনো ধরনের ফানুস বা আতশবাজি ফুটানো যাবে না। বাংলা নববর্ষে মাদকের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ র্শীষক আলোচনা সভা
পরবর্তী নিবন্ধসিঙ্গাপুর থেকে স্বল্পমেয়াদে এলএনজি সরবরাহে নীতিগত অনুমোদন দিল সরকার