নিউজ ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ১২ তম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বললেন, ‘নিজে দুর্নীতি করবো না, দুর্নীতিকে প্রশ্রয়ও দেবো না’।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন উপাচার্য এ কথা বলেন।
আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছেন অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। দায়িত্ব নিয়েই সবার উদ্দেশ্যে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার কথাও বলেছেন।
উপাচার্য বলেন, আমি আপনাদেরই লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর লোক, আমি প্রধানমন্ত্রীর লোক। সবাই সহযোগিতা করবেন, ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। তবে দয়া করে কেউ আমাকে পিছু টানবেন না।
তিনি বলেন, আমি কোনো দুর্নীতি করবো না। কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না। আমি মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারি, তবে ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আমার কাজের গতি যেন ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যাপারে সবাই আমাকে সহযোগিতা করবেন।
দীন মোহাম্মদ বলেন, আমার কাছে সবাই সমান। আমি কারও অন্যায় আবদার শুনবো না। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা রয়েছে। আমি জানি, আমার অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। আমি মনে করি, আপনারা সবাই খুবই ক্যাপাবল। বছরের পর বছর এখানে শ্রম দিয়ে আসছেন। সবাইকে জড়িয়ে ধরে এক সঙ্গে কাজ করতে চাই। আমি প্রশাসনিক ক্ষমতা দেখাতে আসিনি, আমি আপনাদের বন্ধু হয়ে কাজ করতে চাই। আপনাদের পাশে থেকে সব সমস্যা সমাধান করতে চাই।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে নতুন উপাচার্য বলেন, আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই আমি সবচেয়ে খুশি হবো। অন্যকিছু দিয়ে আমাকে খুশি করা যাবে না। কেউ দায়িত্ব পালন করতে না পারলে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হবে। যিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পারবেন, তিনিই দায়িত্ব নেবেন।
দীন মোহাম্মদ আরও বলেন, আমার রুমে এসে অপ্রয়োজনীয় সময় ব্যয় করার দরকার নেই, এটা আমার পছন্দ না। আপনারা সবাই অনেক কর্মঠ, কাজের মাধ্যমেই আপনাদের সঙ্গে আমার কথা হবে। অনুরোধ করবো, আমাকে সবাই সহযোগিতা করবেন। আমি আপনাদের মতোই একজন।
প্রসঙ্গত, দেশব্যাপী চক্ষু রোগী ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে খুবই প্রিয় ও সুপরিচিত নাম অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সর্বোচ্চ সম্মাননা ডা. আলিম মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন এই চিকিৎসক। তার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী এলাকায়। তিনি পাকুন্দিয়া এলাকার মানুষের কাছে ‘ননী ডাক্তার’ নামে পরিচিত।