নিউজ ডেস্ক : পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) প্রোমোটিং অ্যাগ্রিকালচারাল কমার্শিয়ালাইজেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজেস (পেইস) প্রকল্পে মাধ্যমে পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা উপকৃত হয়েছেন। সরাসরি অর্থ সহায়তা পেয়েছেন চার লাখ ৩৯ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা।
পাশাপাশি তিন লাখ মজুরিভিত্তিক কর্মসংস্থান হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর শের-ই বাংলানগরে পিকেএসএফ মিলনায়তনে পেস প্রকল্পের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রকল্পের মূল্যায়ন উপস্থাপনকালে পিকেএসএফের উপমহাপরিচালক মো. ফজলুল হক চৌধুরী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পিকেএসএফ পরিচালিত এই প্রকল্প সারা দেশে ৪০ জেলার ব্যবসায়ের ৪৪ ক্লাস্টারের মান উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা তৈরিতে কাজ করেছে। ফলে এসব এলাকায় নতুন নতুন ব্যবসা গড়ে ওঠার পাশাপাশি পুরোনো উদ্যোগে সহায়তা ও আধুনিকায়নে সহায়তা করা হচ্ছে। এতে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি হয়েছে। যশোরের অটোমোবাইলস, ভৈরবের জুতা শিল্প, যশোরের গদখালি ফুল চাষ এলাকা, নাটোরের ওষুধি বাগান, সিরাজগঞ্জের দুধ শিল্প এর মধ্যে অন্যতম। এসব এলাকায় একেকটি পণ্যের জন্য প্রকল্প সহায়তার ফলে একদিকে পণ্য উৎপাদনে আধুনিকায়ন, মানসম্পন্ন পণ্য সৃষ্টি এবং উৎপাদনে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে এসব এলাকায় উৎপাদিত পণ্য দেশের বাজারে বাজারজাত করার পাশাপাশি বিদেশ রপ্তানিও করা হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ, যেখানে মাথাপিছু আয় বাড়বে এবং চরম দারিদ্র্যের অবসান হবে। দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের যে অঙ্গীকার রয়েছে, তা অর্জনে পিকেএসএফ বরাবরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পিকেএসএফ কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই পন্থায় দারিদ্র্য দূরীকরণে কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা আমাদের বলেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পিকেএসএফ কাজ করছে। পেস প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে পিকেএসএফ। এ প্রকল্পের উদ্ভাবনী কার্যক্রম, অর্জন, সাফল্য ও অভিজ্ঞতা অভিনব উন্নয়ন কৌশল ও উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রণয়নে সহায়ক হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেন বলেন, কার্যক্রমগুলো নিয়মিত ফলোআপ করা হবে, যাতে অর্জিত অগ্রগতি পরিচর্যার অভাবে থেমে না যায়। এজন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ করা হবে।
অনুষ্ঠানে সিরাজগঞ্জের উদ্যোক্তা জাহিদ হাসান দুধ থেকে ঘি ও দুগ্ধজাত পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করার গল্প তুলে ধরেন। তাসনিয়া আফরোজ তুলে ধরেন ফুল থেকে প্রসাধনী তৈরি করার মাধ্যমে রোজগারের চেষ্টা এবং পরে পিকেএসএফের সহায়তায় একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার কথা। পিকেএসএফের ঋণ, প্রশিক্ষণ ও বাজার সংযোগ সহায়তায় নাটোরের শহিদুল ইসলাম কীভাবে ভেষজ উদ্ভিদ চাষ করে সফল উদ্যোক্তা হলেন, কীভাবে দেশের ভেষজ পণ্য উৎপাদনকারী বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল সরবরাহকারী হয়ে ওঠেন সে গল্প বলেন অনুষ্ঠান।