নিউজ ডেস্ক : গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৪৬.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
রোববার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৪৬.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুল্যের তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানি হয়েছে এবং এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১০.২৭ শতাংশ। চলতি অর্থ বছরে (২০২৩-২৪) জুলাই থেকে মে মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩.৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাব, বৈশ্বিক মহামারি, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বাজার আমেরিকা ও ইউরোপে মূল্যস্ফীতি প্রভৃতি কারণে রপ্তানি আয় অর্জনে স্লথ গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশ্ব বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে পণ্যের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে বাংলাদেশ রপ্তানি খাতে বিশ্ব বাজারে চাহিদা পূরণে পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের চাহিদা বিশ্ববাজারে কমে যাওয়ার কারণে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার কমে গেছে। তবে, তবে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, কানাডা, জাপান প্রভৃতি দেশে এ খাত হতে রপ্তানি আয় অর্জনে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিট বলেন, গত একযুগের মধ্যে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব থেকে বেশি মুল্যস্ফীতি হয়েছে। এ অর্থ বছরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৮.৬৯ শতাংশ, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৮.৬৯ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৬.৭৮ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৭.৩৫ শতাংশ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৬.৪১ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫.৯২ শতাংশ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫.৪৪ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫.৮৮ শতাংশ, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫.৪৮ শতাংশ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫.৬৫ শতাংশ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫.৫৬ শতাংশ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬.১৫ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯.০২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ছিল।