আন্দোলনে নিহত পুলিশ সদস্যের তালিকা প্রকাশ

নিউজ ডেস্ক :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে দায়িত্ব পালনের সময় হামলা ও সংঘর্ষে নিহত পুলিশ সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো তালিকায় দেখা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে গিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলায় ৪৪ জন পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
পদমর্যাদা অনুযায়ী নিহতেদের মধ্যে পরিদর্শক ৩ জন, এসআই ১১ জন, এএসআই ৭ জন, নায়েক একজন, কনস্টেবল ২১ জন, একজন এটিএসআই রয়েছেন।

নিহত পুলিশ সদস্যরা রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানা, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা পূর্ব থানা, শ্যামপুর, রামপুরা, কদমতলী, আশুলিয়া, খুলনার লনবচড়া, গাজীপুরের বাসন থানা, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা, কুমিল্লার তিতাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, চাঁদপুরের কচুয়া থানা, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানা, হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা, কুমিল্লার ইলিয়ট হাইওয়ে থানা এলাকায় দায়িত্ব পালনে গিয়ে তারা নিহত হন।

পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী সরকার পতনের দিন সবচেয়ে বেশি পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। গত ৫ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানার সামনে ডিবি উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. রাশেদুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) উত্তরা পূর্ব থানার খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, ট্রাফিক উত্তর বিভাগের কনস্টেবল মো. শহিদুল আলম, কল্যাণ ফোর্স বিভাগের কনস্টেবল মো. আবু হাসনাত রনি, দক্ষিণ বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, যাত্রাবাড়ী থানার সামনে উপ-পরিদর্শক (এসআই) শ্রী সূজন চন্দ্র দে, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সঞ্জয় কুমার দাস, কদতলী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফিরোজ হোসেন, কনস্টেবল মো. আব্দুল মজিদ, কনস্টেবল রেজাউল করিম, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় পিওএম পশ্চিম বিভাগের কনস্টেবল মো. মাহফুজুর রহমান, কদমতলী থানার কনস্টেবল মীর মোনতাজ আলী।

২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগের নায়েক মো. গিয়াস উদ্দিন, ৫ আগস্ট গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার সামনে কনস্টেবল মো. আব্দুল মালেক, ৫ আগস্ট ঢাকা জেলা পুলিশের আশুলিয়া থানা এলাকার আফসার মন্ডলের বাড়ির সামনে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই- নিরস্ত্র) রাজু আহমেদ, কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার ভেতরে উপ-পরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) রেজাউল করিম, একই থানায় কনস্টেবল মাইনুদ্দিন লিটন, আশুলিয়া বাইপাল মসজিদের সামনে ঢাকা জেলার বিশেষ শাখা (এসবি) সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই-নিরস্ত্র) মো. রফিকুল ইসলাম, চাঁদপুরের কচুয়া থানার সরকারি কলেজের মাঠে উপ-পরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) মো. মামুনুর রশিদ সরকার, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার ভেতরে উপ-পরিদর্শক (এসআই-নিরন্ত্র) মো. বসির উদ্দিন, একই থানায় কনস্টেবল মোহাম্মদ ইব্রাহিম। ২ আগস্ট খুলনা মহানগররির লবনচড়া থানার গল্লামারী বাজার এলাকায় সংঘর্ষে কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামী।

৪ আগস্ট সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার বাবু মিয়ার বাড়ির সামনে পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আব্দুর রাজ্জাক, উপ-পরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) রইস উদ্দিন খাঁন, উপ-পরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) মো. তহছেনুজ্জামান, উপ-পরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) প্রনবেশ কুমার বিশ্বাস। উপ-পরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) আনিসুর রহমান মোল্যা, কনস্টেবল মো. আব্দুস সালেক, কনস্টেবল মো. রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. হানিফ আলী।

থানার ভেতরে উপ-পরিদর্শক (এএসআই-নিরস্ত্র) মো. ওবায়দুর রহমান, থানার মসজিদের সামনে কনস্টেবল মো. হাফিজুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. রবিউল আলম শাহ্‌, থানার ভেতরে কনস্টেবল মো. আরিফুল আযম, কনস্টেবল মো. শাহিন উদ্দিন। ৫ আগস্ট এনায়েতপুর থানার ভেতরে উপ-পরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) মো. নাজমুল হোসাইন, বাবু মিয়া বাড়ির সামনে কনস্টেবল মো. হুমায়ুন কবির, একই দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার ভেতরে পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট টাউন সাব-ইন্সপেক্টররা (এটিএসআই) আলী হোসেন চৌধুরী। ৬ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) সন্তোষ চৌধুরী। ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ি থানার রায়েরবাগ বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদর দফতরের কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই-নিরস্ত্র) মো. মোক্তাদীর। ২১ জুলাই রামপুরার বনশ্রীতে সংঘর্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআইতে কর্মরত পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মাসুদ পারভেজ ভূঁইয়া নিহত হন। ৪ আগস্ট কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল মো. এরশাদ আলী ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে নিহত হন। ১৪ আগস্ট শ্যামপুর থানার কনস্টেবল মো. খলিলুর রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিন্ডিকেট বন্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধআলোচিত সেই হারুনের ব্যাংক হিসাব জব্দ